THE BEST SIDE OF স্কুল জীবনের অসমাপ্ত ভালোবাসার গল্প

The best Side of স্কুল জীবনের অসমাপ্ত ভালোবাসার গল্প

The best Side of স্কুল জীবনের অসমাপ্ত ভালোবাসার গল্প

Blog Article

পরের দিন নির্দিষ্ট সময়ে আমরা দল বেঁধে মাঠে পৌঁছে গেলাম। আমরা ঠিক করে নিয়েছি আমরা বিবাহিতদের সাপোর্ট করব। কারণ বিবাহিতদের ক্যাপ্টেন হচ্ছে বড় মামা। আমরা সবাই বড় মামাকে অনেক ভালোবাসি তাছাড়া বড় মামা ফুটবলার হিসেবে টুর্নামেন্ট জিতে অনেক প্রাইজ পেয়েছে। আস্তে আস্তে মাঠে মানুষের ভিড় বাড়তে লাগলো। বড় মামার দলে রয়েছে অন্যান্য মামারা এবং খালুরা। আর মুরাদ ভাইয়ের দলে রয়েছে মামাতো ভাই এবং খালাতো ভাই রা। খেলা শুরুর আগে সবাই এসে আমাদের কাছে দোয়া চেয়ে গেল। ভিড়ের ভিতরে সে এক ফাঁকে সবার অগোচরে এসে আমার কানের কাছে মুখ নিয়ে বলল,” দোয়া করো”। আবারো সেই বুকের ভিতর ঢোল, তবলা,  হারমোনিয়াম বেজে অসমাপ্ত জীবনের গল্প উঠলো। তার সাহসে আমি পুরোপুরি হতভম্ব হয়ে গেলাম।

এদিকে এরকম করেই দেখতে দেখতে আরেকটা বছর কেটে যায়, আমার সামনে জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষা মাধ্যমিক এসে হাজির হয়, আর অন্যদিকে সমীরের জীবনের গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা উচ্চমাধ্যমিক এসে হাজির হয়। তাই পড়ার চাপটাও অনেকটাই বেড়ে গেল দুইজনের। তাই আগের মত স্কুল যাওয়াটাও হয়ে উঠে না, কারণ আমার সারাদিন টিউশন পড়তেই চলে যেত।

(দিশা রক্তিমের কথা শুনে আরো জোড়ে কান্না শুরু করে দিলো)

পরের দিন নানী অনেকটা সুস্থ বোধ করাতে তাকে ধরাধরি করে বারান্দায় এনে বসানো হলো। নানীকে অনেকটা সুস্থ দেখে বাড়ির সবার মনে  স্বস্তি ফিরে এলো।

লেখাটির সম্পূর্ণ কপিরাইট লেখিকার পক্ষে ছাড়পত্রের অ্যাডমিন দ্বারা সংরক্ষিত। লেখাটির অন্যত্র প্রকাশে (ভিডিও/অডিও/টেক্সট ইত্যাদি) ছাড়পত্র উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণে বাধ্য হবে।

স্কুল জীবনে বন্ধুত্ব রংধনুর সাত রং দিয়ে মাখা।

দিশা ওর মায়ের কাছে এসব কথা শুনে সাথে সাথে ধুপ করে নিচে ফ্লোরে বসে পরে। তারপর চিত্কার করে কান্না শুরু করে দেয়। ওর আম্মুকে কান্না করতে করতে বলে….

খালাতো বোন তুহিন গাইল,”চিরদিনই তুমি যে আমার যুগে যুগে আমি তোমারি…..”

কি সব ‘পাগলের মতো কথা বলছো তুমি আম্মু!” ওর মতো গুন্ডা ‘বখার্টে ছেলেকে তুমি ভালো ছেলে বলছো। ওর কি কোনো লাজ ‘লজ্জা আছে নাকি। এদের কাজ শুধু মারপিট করা। বিনা নটির্সে যে কারো বাসায় প্রবেশ করা। দেখছো না একটু আগেই আমাদের বাসায় এসে পুরো পার্টিটাই নষ্ট করে দিলো। তাই তো আমি ওকে এখান থেকে ঘাড় ধরে ধাক্কা দিয়ে বের করে দিতে চাইলাম। তখন তো সে এখান থেকে চলে গেলো। কি ব্যাহায়া’নীর্লয্য’ছেলে একটা ওর মা-বাবা হয়তো ওকে ভালোভাবে শিক্ষা দিতে পারে।

তোমার ঘৃণার পাত্র, গুন্ডা ‘বখার্টে ছেলে রক্তিম।

আমার এখনও দিনটা মনে আছে, ৫ অক্টোবর ২০১৬, বুধবার আমি তার প্রশ্নের উত্তর দিয়ে দিই, যে আমাকেও তার ভালো লাগে। জীবনের এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা হল। এদিকে সদ্য প্রেম শুরু হতে না হতেই চলে এল পুজোর ছুটি। দীর্ঘ একমাস ছুটি, তার নাম্বার আমার কাছে ছিল ঠিকই কিন্তু ছিল না, আমার নিজস্ব একটি মোবাইল। লুকিয়ে লুকিয়ে বাবার ফোন দিয়ে ম্যাসেজ, করে ডিলিট করে দেওয়া এই ছিল, প্রতিদিনের রুটিন।  

যাও, ওকে এখুনি আমাদের বাসা থেকে বের করে দেও। পুরা পার্টিটাই নষ্ট করে দিল জানোয়ারটা। এখুনি বিদেয় করো এটাকে।

সে নানীর পাশ থেকে উঠে দাঁড়িয়ে বলল, “ঠিক আছে । আমি হাত মুখ ধুয়ে কিছু খেয়ে নিচ্ছি আর ততক্ষণ আপনি বিশ্রাম নেন আবার এসে আমি দেখে যাব”। সে দরজার কাছে এগিয়ে গিয়ে ঠিক বাইরে বের হওয়ার আগ মুহূর্তে ঘাড় বেঁকিয়ে আরেকবার তার সেই তীব্র দৃষ্টিতে আমাকে এফোঁড়-ওফোঁড় করে দিয়ে বেরিয়ে গেল।

Report this page